আজ বৃহস্পতিবার, ১৯শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সূর্যগ্রহনে আর্থিক লোকসানের পরিমাণটা যুক্তরাষ্ট্রে কত কোটি টাকা?

 

 

 

প্রায় এক শতাব্দী (৯৯ বছর) পর প্রথম পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণের সাক্ষী হতে উচ্ছ্বাস-আয়োজনের কমতি ছিল না মার্কিনদের মধ্যেও। সেদিন কর্মদিবস থাকলেও অফিস কিংবা ব্যবসাপাতি ফেলে তারা কুণ্ঠা করেনি সূর্যগ্রহণ দেখতে। এতে সেদিন কিছু সময়ের জন্য হলেও থমকে গিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক উৎপাদনশীলতা। যে কারণে বড় অঙ্কের লোকসান হয়েছে দেশটির অর্থনীতিতে।

যুক্তরাষ্ট্রের শ্রম পরিসংখ্যান অফিস থেকে তথ্য নিয়ে আনুমানিক একটি হিসাবও কষেছে দেশটির সবচেয়ে পুরোনো সাপোর্ট ফার্ম চ্যালেঞ্জার্স, গ্রে অ্যান্ড ক্রিসমাস। তাদের হিসেবে, যুক্তরাষ্ট্রে মোট কর্মজীবীর সংখ্যা ৮ কোটি ৭০ লাখ। ঘণ্টাপ্রতি তাঁদের মজুরি ২৩. ৮৬ ডলার। ধরা যাক, সেদিন সূর্যগ্রহণ দেখতে মার্কিন নাগরিকেরা গড়ে ২০ মিনিট করে কাজে ফাঁকি দিয়েছেন। অর্থাৎ সূর্যগ্রহণ দেখার সময়টুকুতে প্রতিটি কর্মজীবী নাগরিকের কাছ থেকে গড়ে ৭.৯৫ ডলার মূল্যের উৎপাদন হারিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এখন ৮ কোটি ৭০ লাখ কর্মজীবীর সঙ্গে মাথাপিছু লোকসান গুণ করলেই বেরিয়ে আসবে মোট ক্ষতির অঙ্ক—৬৯ কোটি ৪০ লাখ ডলার! বাংলাদেশি মুদ্রায় যেটি প্রায় ৫ হাজার ৬৩৯ কোটি টাকা!
লোকসানের অঙ্কটা কি অনেক বেশি? আমাদের তা মনে হওয়াই স্বাভাবিক। যদিও যুক্তরাষ্ট্রের অতীত কিছু ঘটনা বিবেচনায় সূর্যগ্রহণ আর্থিক লোকসানের পরিমাণটা বেশ কম। যেমন ধরুন, এনএফএলের বার্ষিক চ্যাম্পিয়নশিপ ম্যাচ ‘সুপারবোল’-এর পরদিন মার্কিনরা এ নিয়ে শুধু আলোচনা করেই ঘণ্টাপ্রতি ১৭০ কোটি ডলার লোকসান ডেকে আনে দেশের অর্থনীতিতে। কিংবা ‘সাইবার মানডে’র দিন দেশের অর্থনীতিতে ঘণ্টাপ্রতি ১৯০ কোটি ডলার লোকসান হয়। এ ছাড়া ‘অ্যামাজন প্রাইম ডে’র দিন লোকসান হয়েছে ১০০০ কোটি ডলার!

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ